এক.
গ্রামাঞ্চলে বেকার ছেলেদের বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যারা তাদের প্রতি সমাজের কিছু আজাইড়া মুরুব্বিরা কেন জানি অদ্ভুত এক ধরনের কুদৃষ্টি নিয়ে তাকায়। যেন বেকাররা তাদের আটাশ -ভাতে ভাগ বসাবে এমন অবস্থা। ভিলেজ -পলিটিক্সের প্রধান যে যে কারুকাজ গুলো চোখে পড়ে দেখবেন বেকার -সংক্রামক নিয়ে তাদের কত ধরনের ট্রিটমেন্ট। জামাল, সফিকের ছেলেটি কি করে চলে? কি করছে? এত দামি লুংগি -শার্ট পরে, মোবাইলে কথা বলার এত টাকা কোথায় পায়? এতশত কল্পনা - জল্পনা নিয়ে রোজ চায়ের দোকানে ভিড় জমাতে দেখা যায় এসকল সামাজিক -মানুষ নামক পশুদের ! এলাকার জনপ্রতিনিধিদের চামচারা এক্ষেত্রে কয়েক ধাপ এগিয়ে আছে। তাইতো বলতে শুনি পশুদের পাহালে (চুলায়) আগুন জললে ও তাদের কারও কারও পাহালে আগুন খুব কমই জলে থাকে। তারা কখনো কি ভাবতে পারেনা বা ভাবতে শিখেনি যে একজন বেকার ছেলের ও বাবা -মা আছে , হয়তো কেউ লেখাপড়া করছে, কেউ সবেমাত্র পাশ করেছে, চাকরি -বাকরি পেলে কি আর এভাবে বসে থাকবে? এরকম মানসিক অত্যাচারে জর্জরিত আমাদের গ্রামেরই একজন ছেলে মানিক। এ বছর ডিগ্রি পাশ করেছে। কুমিল্লার জাগরতলিতে লজিং থেকে টিউশনি করে নিজেকে চালিয়েছে দীর্ঘ সাত বছর ধরে ।সেই দিনগুলো অনেক বেদনার ছিল। বাড়ি থেকে নামমাত্র টাকা নিত সে। পায়ে একজোড়া সান্ডাক জুতা আর এক বন্ধুর দেওয়া জিন্স এবং টিয়া রংয়ের টি শার্টটিই ছিলো তাঁর একমাত্র ভালো পোশাক। হাতে টাকা না থাকলে কলেজে যেতে পারত না। বেশিরভাগই কলেজের বাসে যেতে হতো। বাসে উঠে পোশাকের জন্য সহপাঠীদের বাঁকা চাহনিতে কতটা দুঃখবোধ ছিলো তা শুধুমাত্র "শেখ সাদী "ছাড়া কেউই বুঝতে পারবে না। ডিগ্রি পাশ করে একটি চাকরি নামক সোনা নয় হীরার -হরিণের জন্য দিনরাত ছুটতে ছুটতেই এক বছর শেষ হতে চলল। এরই মধ্যে তার মেঝো কাকা ঢাকায় একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে অফিস -সহায়ক পদে চাকরি দিলে ছয় মাস করেই ছেড়ে দেয়। চা -সমুচা সার্ভ করার কাজটি র সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনি অথচ তারই কাকা এলাকায় প্রচার করেছিল -" ভাতিজা কে কত ভালো একটা চাকরি দিলাম ; করল না, কোন খানে পাইল্লা কালা হয় না " বুঝলেন ভাই। শেষ পর্যন্ত নিজের কাকা দোকান -পাটে তার অকর্মা কপালকে হাজার গালি দিয়ে ই ক্ষান্ত হলেন। মামু থাকলেও খালুর মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই মানিকের । দু তিন কানি জমি ছিল, বোনের বিয়ের সময় আধ কানি বিক্রি করতে হয়েছিল তাদের। তার চাপাচাপিতে তাঁর বাবা নাকি বলেছেন একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করতে পারলে জমি বিক্রি করে টাকা দিবেন। (যে দেশে টাকা এবং লোক ছাড়া চাকরির চিন্তা করাই পাপ।)
আমি বেকারত্বের বেত্রাঘাত থেকে মুক্তি পেয়েছি গত সেপ্টেম্বরে। একটি এনজিও তে চাকরি করছি। প্রতি বৃহঃ বার বাড়িতে যাই আবার চোখ কচলাতে কচলাতে শনিবার ভোরে অফিসে চলে আসি। চলে যাচ্ছে কোন রকম। মানিক মাঝেমধ্যে ফোন দিত। এভাবেই স্নেহের হাত বাড়িয়ে দিলাম একসময়কার আমাদের গ্রামের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র কে। অভাবের কারনে যার সাধের মেধাকে হোচট খেতে হয়েছে বারবার,অবশ্য এতিম হলে ভিন্ন ব্যাপার । একদিন অফিসে কাজ করছি, অফিস আর থাকার রুম পাশাপাশি। হেড অফিস থেকে বড় স্যারেরা এসেছে। -অডিট চলবে তিন দিন। ইতোমধ্যেই ধমকাধমকি শুরু হয়ে গেছে। ধমকানি আর কচলানিই ক্রেডিটে চাকরি করা অফিসারদের ভাগ্যে জুটে থাকে প্রতিনিয়ত।( তুমি মরে যাও ; এ যে কিস্তি ! হরতাল-অবরোধ, ঝড় -তুফান যাই হোক কিস্তি আনতেই হবে যেকোন মুল্যে তা নাহলে চাকরি চলে যাবে, না পারলে চলে যাও ;রাস্তা খুবই সোজা। তুমি চলে গেলে শ শ আসবে। ) যা একটু আগে মাত্র খেলাম। যাইহোক আমার একটি কল আসায় রুমে আসলাম -হ্যালো,কে? - আসসালামু আলাইকুম ভাই, আমি উওর পাড়ার মানিক, বাজার থেকে ফোন করেছি। -ও মানিক, কি খবর তোমার? তুমি কই আছ এখন? -ভাই বাড়িতে আছি,ভাই আপনার সাথে একটা কথা বলতাম। -হুঁ বল না ! -কবে বাড়িতে আসবেন? - বৃহঃ বার আমাকে ঢাকায় যেতে হতে পারে, যদি ঢাকায় না যাই তাহলে ত অবশ্যই যাব। -ভাই রাতে ব্রিজে গিয়ে আপনাকে কল দেব। - আচ্ছা ঠিক আছে।
লাইন কেটে কাজে মনযোগ দিলাম আবার।
দুই.
আজ বৃহঃ বার , বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। বাসে উঠেই জানালার পাশে বসতে চাইলাম কিন্তু আজ সিটই পেলাম না। একজন মুরুব্বি কন্ডাক্টারকে সিট দিতে পিড়াপিড়ি শুরু করলে পাশের সিটের আরেকজন ব্যঙ্গ করে বলছে -"সিট ত আছেই, খালিয়েনা নাই "। কম বেশি মজা লইতে কে না ভালবাসে? ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেল। গ্রামের রাস্তায় হাটছি আর ভাবছি ;
রাত দশটা বাজতে না বাজতেই ঘুমের জন্য ছটফটানি শুরু করে দেয় কিছু ক্লান্ত মানুষ। ইদানিং কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে। কোন কোন ঘরে রাত দুপুরে ও আলো চোখে পড়ছে। ডিশ - স্টার জলসার কারনেই পরিবর্তন টা আস্তে আস্তে বিপ্লবে পরিণত হচ্ছে। অতি আধুনিক এই যুগে পরিবার গুলি অল্প সময়ের মধ্যে ভেঙে যাচ্ছে। শহরের বৃদ্ধাশ্রমের নব্য-সংস্করণ গ্রামে ও দেখা যাচ্ছে। মা-বাবাকে ফেলে রেখে বউ নিয়ে আলাদা দূরে চলে যাচ্ছে । শহরের মানুষরা বৃদ্ধ মা -বাবাকে দুরে রেখে আসে আর গ্রামের নতুন প্রজন্ম ফেলে দুরে চলে যায়। জীবন -চক্রের নিষ্ঠুর বদলে যাওয়া দেখে নিজেকে প্রশ্ন করি-আমরাও ত এমন বৃদ্ধ হব কোন একদিন!
রাতে খাবার পর পুকুরের ঘাটলায় বসে আছি এমন সময় বাবা আমার মোবাইলটা নিয়ে এলেন। বাবা -অনেকক্ষন ধরে ফোনটা বাজছে, নে ধর। -মানিক হবে হয়তো। -ও তোকে বলতে ভুলে গেছি জামাইল্লা এসেছিল গতকাল,তুই নাকি মানিকের একটা চাকরির কথা বলেছিলি তাকে? -হ্যাঁ বাবা, বলেছিলাম। -কিন্তু ছেলেটা ত -আরে মেম্বারের মেয়েকে তার বন্ধু ঐ যে কি জানি ছেলেটার নাম,ও মনে পড়েছে ভাগিনা সজল তুলে নিয়ে গেছে। -কবে নিল? -গত রবিবারে, শুনেছি মামলাও হয়ে গেছে। লোকজন বলাবলি করছে তোকে ও আসামি করা হবে তাই তোকে বলতে মানা করেছিলাম মানিককে। -আচ্ছা বাবা তুমি এখন যাও। -যাচ্ছি আর শোন, তাকে বলবি তোকে যেন প্যাচে না আবার ফালায়। -ঠিক আছে বাবা, ঘুমানোর আগেই ঔষধ খেয়ে নিও। একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি ঘরে চলে গেলেন।
তিন.
কয়েকদিন ধরে মানিকের সাথে কথা বলতে চেষ্টা করছি কিন্তু তাঁর মোবাইল বন্ধ। একদিন বিকেলে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে গেলাম কিছু লেখা টাইপ করানোর জন্য, বাবার মত বয়সী লোকটি টাইপ করে চলেছেন আর আমি পাশে বসে দেখছি (তাঁর মেশিনের মত হাতের কারিশমা দেখে মুগ্ধই হলাম)। এসময় মোবাইলে রিং বেজে উঠায় আমি সেন্টার থেকে বের হয়ে গেলাম।
-হ্যালো বলার আগেই ওপার থেকে বলল, ভাই আমি মানিক।
-ও মানিক তুমি, তোমার নাম্বার বন্ধ কেন? তুমি ভালো আছ? -ভাই এখন থেকে এই নাম্বারে কথা হবে, ঐ নাম্বারে মেম্বারের ছেলে হুমকি দেয় -গালাগালি করে তাই বন্ধ করে দিলাম! -তুমি এখন কই আছ? -ভাই কারো কাছে বলবেন না, আমি নোয়াখালী আছি সজলের এক বন্ধুর বাসায়। -আরে না কি বল তুমি। -ভাই আপনার না একজন ক্লাসমেট আছে এডভোকেট? -আছে ত, তার পিএসের সাথে কথা বলেছিলাম গতকাল রাতে। সে নাকি লন্ডনে আছে বর্তমানে তাঁর পিএইচডি করার কাজে। সে আসতে দেরী হবে। -ভাই আপনি কিছু মনে করবেন না, আপনি শুধু শুধু আমার জন্য মামলা খেলেন, যে কাজ জীবনে হয়নি! -আরে না, দুএকটা মামলা না খেলে নাকি সাহস হয়না (হাহাহা)। -তারপর ও ভাই আমার সাথে চলেছেন বলেই ত! -চিন্তা করনা, দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে। -আচ্ছা সজল কই? -সে কক্সবাজার আছে, ভাই শুনলাম মেম্বারের অবস্থা নাকি বেশি খারাপ? -হুঁ, হয়তো তিনি আর ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারবেন না। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, শুনেছি সজলের নাম শুনলেই কেউ ভড়কে যাচ্ছে আবার কেউ কেউ তাঁর চৌদ্দগোষ্ঠীকে গালাগালি করছে। চেয়ারম্যান ত রীতিমতো হতবাক সজল্লাইর এতবড় সাহস? তিনি দেখে নিবেন! দরকার হলে দলের বড় নেতাদের সাথে আলাপ করে যা করার করবেন। -ছোট ভাইয়ের কাছে যা শুনলাম বুঝেছ? -তো ভাই আপনার শরীরের অবস্থা ভালো? -হ্যাঁ, ভালো। -ঠিক আছে মানিক তুমি ভালো থেকো, তোমার নাম্বারটা সেভ করে রাখলাম। -আর সজলের সাথে কথা হলে বলবে আমাকে ফোন দিতে। -আচ্ছা ভাই।
নারী -নির্যাতন মামলা থেকে শুরু করে চাদাবাজি মামলা সবমিলিয়ে পাঁচটি মামলা হয়েছে সজল আর মানিকের নামে এবং গং। গং দিলে নাকি যে কাউকে মামলায় ঢুকিয়ে দেয়া যায়। চেয়ারম্যান সজল ও মানিকের বাবাকে অনেক হুমকি -ধমকিতে চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন মেম্বারের মেয়েকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। এলাকার কেউ যদি কিছু করে বসে তাই এমন ব্যবস্থা! পরের মামলায় আমাকে আর জড়ানো হয়নি। মেম্বারের ছেলেই কাজটি করেছিল। আমাকে মামলা দেয়ার কারনে সে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল আর বলেছিল -তুমি এলাকায় আসবে, তোমার কোন সমস্যা নাই। মনে নাই তুমি একদিন আমাকে কলেজে মারের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলে? যাই হোক মানুষ মানুষের উপকার মনে রাখে না এযুগে তা ভুল প্রমাণিত হল ফিরোজের কথায়।
চার.
অনেক আগের কথা। সজল তখন ছোট ছিল, সবেমাত্র থ্রি তে পড়ে। বাজারে মসজিদের পাশে তাদের তিন শতক জায়গা ছিল। তাঁর বাবা জুতা -ব্যবসা করতেন। টাকা -পয়সার কারনে তিনি এই জায়গায় একটি ঘর ও তুলতে পারেননি। ঠিক তখনই মেম্বারের ক্ষমতা আর অমানুষিক চিত্রনােট্য তিনিই তাদের জায়গাটা ভোগ -দখল করে আছেন ষোল বছর ধরে। বাবার প্রতি সমাজের বিচার, তাদের নিজস্ব জায়গা আর পরের! এটা কেমন বিচার? এসব জিজ্ঞাসা পোষে মনে চাপা -ক্ষোভের জন্ম হয়েছিল ষোল বছর আগে। আজ যা ঘটে চলেছে বা ঘটবে ঐ চাপা -ক্ষোভমুক্তির আশা খুব ক্ষীণ। চেয়ারম্যান গ্রাম্য -সালিশের মাধ্যমে নতুন সমীকরণ করতে চেয়েছিলেন। যে সমাজ সজলদের পিষ্ট করে দিতে চায় সে সমাজ থেকে সজলরা ও অনেক কিছু শিখে ফেলে। সজলের হাত ও চেয়ারম্যানের হাত থেকে অনেকাংশে লম্বা। সজল শুধু চেয়ারম্যান কে বলেছিল -আমাদের কুত্তা -মেম্বারের অবস্থা ত দেখেছেন? নতুন করে খেলতে চাইলে আমি রাজি (হাহাহা)। -চেয়ারম্যান নিশ্চুপ। - আর একটি কথা আজ থেকে তাঁর মেয়ে কে আমি মুক্তি দিয়ে দেব, কিন্তু মনিরা আমাকে ছেড়ে যাবে বলেও মনে হচ্ছে না! আমার ভালবাসার কাছে তার বাটপার বাপ কিছু না। বাজারের জায়গাটা খালি করে দিতে বলেন। এখানে শপিং -মল দেয়া হবে। -বাবা জায়গাটা ত মে...-একদম চুপ! আর একটি কথা বললে আপনার লাশ বিল্ডিংয়ের পিলারে মিশে থাকবে! আপনি ই ভাবুন -যেভাবে আমার বাবার সরলতার সুযোগ নিয়ে মেম্বার কে পাইয়ে দিয়েছিলেন সেভাবে কাজটা আপনাকেই করতে হবে। -ঠিক আছে বাবা, তুমি যা বললে তাই হবে। আমি হুমকি দিচ্ছি না নিজের জায়গা চাচ্ছি। নিজের জায়গায় একটা টয়লেট বসালে ও মনে বড়ই শান্তি পাওয়া যায়!
পাঁচ.
চেনা মানুষ গুলো দুরে থাকলে মন কেমন জানি করে ওঠে। সজল আর মানিক দুজনে ফিরেছে। আজকাল আমাদের গ্রামের ভালো-মন্দ বিচার করে। সময়ের পরিক্রমা মানুষকে খুবই বদলে দেয়। তাদের আজ কোন মামলা নেই ; মেম্বার কে সজল উন্নত চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে তুলে। আর কোন বিরোধ নেই। ছায়া -ঘেরা গ্রামটিতে যেন শান্তির দূত নেমে এসেছে ! শপিং -মলে ফিরোজ কে একটি দোকান একেবারেই উইল করে দিয়ে দেয়, মনিরাকে গ্রামের সকল কে নিয়ে বিয়ে করে সে। মানিককে একটি ভালো চাকরি দিয়ে দেয়। আমার জন্যে ও চেষ্টা করছে, এই বছরের মধ্যে হয়ে যাবে। এলাকার সাধারণ মানুষ তাকে রাজনীতি করার তাগিদ দিলে সজল তাতে সায় দেয়নি -এ গ্রামের সকলের পাশেই সে আজীবন থাকতে চায়! তবে কোন দলের দালাল হয়ে নয়। আমি ভালো করলেই সবাই আমাকে চাইবে। এভাবেই অমানুষদের অত্যাচার আর ব্যাভিচারে নিজ- ভুবনে একটি দাহ তাকে সত্যিকারের মানুষ করে তুলেছে । সমাজের এমন দাহে যেন আর কেউ না পুড়ে সেই চেষ্টাই করে চলেছে সজল। তাঁর সাথে আমিও আছি তেমনি কিছু অজানা ঝড়-আতংক। দাহ থেকে মুক্তি পেলেই সমাজ হবে সুশৃঙ্খল, কেটে যাবে অন্ধকার। ন্যায় আর মনুষ্যত্ব জেগে উঠবেই ; কেননা মানুষের ভালোবাসাই মুখ্য। বদলে দেয়, পথ খুজেঁ দেয় সমাজ আর সমাজের নিভু নিভু আলো কে। সেই আলোর ঝলকানিতে পুড়ে যাক ঘাপটি মেরে থাকা সকল আধার জীবনের, মানুষের।